টেকনাফ (কক্সবাজার) সংবাদদাতা ::
টেকনাফ সড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রিকশাচালককে চিকিত্সার নামে তুলে প্রধান সড়কে ছুড়ে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই ন্যক্কারজনক বিষয়টি জনমনে চরম ক্ষোভের সঞ্চার করেছে।
জানা যায়, গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কম্বনে বসবাসকারী হ্নীলা পশ্চিম পানখালীর মৃত ফকির মোহাম্মদের পুত্র রিকশাচালক শামসুল আলম (৪৮) খারাংখালী স্টেশনে অটোরিকশা চার্জ দেওয়ার জন্য যাত্রাকালে টেকনাফ হতে কক্সবাজারগামী কাঞ্জরপাড়ার আব্দু শুক্কুর কোম্পানির মালিকানাধীন একটি যাত্রী বোঝাই স্পেশাল বাস চাপা দিলে ঘটনাস্থলে তিনি পড়ে অজ্ঞান হয়ে যান।
চালক ও হেলপার উক্ত রিকশাচালককে চিকিত্সার নামে তুলে নিয়ে দক্ষিণ নয়াবাজার সংলগ্ন সাবেক মেম্বার রওশন আলীর বাড়ির সামনে সড়কের পশ্চিমে ছুড়ে ফেলে দিয়ে যাওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ির চালক ও যাত্রীরা দেখতে পেয়ে হোয়াইক্যং হাইওয়ে পুলিশকে খবর দেয়। হোয়াইক্যং হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএসআই রাজু কান্তি দাশ ধাওয়া করে বাসটিকে কাঞ্জরপাড়া হতে আটক করলেও চালক-হেলপার পালিয়ে যায়। নিহত রিকশাচালকের বাড়িতে স্ত্রী ও ৭ ছেলে-মেয়ে রয়েছে। সড়ক আইনি দুর্বলতার সুযোগে প্রায় সময় চালক-হেলপারেরা ঘাতকের ভূমিকা পালন করায় জনমনে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার রাতের প্রথম প্রহরে মালিক পক্ষ এবং নিহত পক্ষের সাথে সমঝোতা বৈঠক করে বিষয়টির সমাধান বের করার চেষ্টা করলেও এক জায়গায় দুর্ঘটনার কবলে পড়া রোগীকে চিকিত্সার নামে অপর স্থানে ছুঁড়ে মেরে হত্যার বিষয়টি ফাঁস হওয়ার পর ক্ষুব্ধ জনসাধারণ প্রধান সড়কে লাশকে ঘিরে ভিড় জমায়।
পুলিশ খবর পেয়ে সম্ভাব্য অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এ ন্যক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি জানিয়েছে।
পাঠকের মতামত: